আমি যদি পাখি হতাম!
বিচিত্র এ পৃথিবীর একদেশ হতে অন্য দেশ
তারপর আরেক দেশ,এভাবেই চলতে থাকতাম।
মেঘ রাশির উপর দিয়ে,
নেই পাসপোর্ট,নেই ভিসা
শুধু ডানা ঝাপটানো।
তবে খাদ্য?
তা কি অপ্রতুল?
নাকি খানিকটা খাদ্য জোগাতেই
সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত?
তবে কি আর সখ করে ধরণী দেখা হবে না?
সেটা কি শুধুই পেটের দায়?
পেটের দায়সারা ও তো হলো না।
জঙ্গল,জনপদ, এগাছ থেকে ওগাছ
যেদিকেই নাই বুকভরে শ্বাসইতো
নেওয়া হলো না।
চারদিকে উড়ছে ধুলো,আর কালো ধোয়া?
সে তো আছেই!
আমরা সবাইতো এসবের কাছে কাবু।
সারাটাদিন খাবারের খোঁজে,
একজায়গা থেকে অন্যত্র।
ক্লান্তিতে নদীর ধারে, পুকুর পাড়ে,
পিপাসায় কাতর হয়ে,নেমে এলাম মাটিতে।
তবে পানি পান করাও যে হলো না।
ইট পাটকেল ছুড়ে এলো ডানার উপর।
এটাই তো ছোট ছেলে মেয়েদের খেলা।
আমরা স্রষ্টার সৃষ্টি,তাই পেট খালি থাকবে না,
এই বিশ্বাস নিয়েই আবার শুরু
ডানা ঝাপটানো,একস্থান থেকে অন্যত্র।
ক্লান্তিতে বসলাম গাছের ডালে
হঠাৎ বিকট শব্দ! গুলি!
এবং সেটা আমার বুকের ভেতর দিয়ে
একপাশ হতে অন্যপাশ।
আমি শিকার,মানুষ শিকারি।
নিস্তব্ধতা!
এখন আর সুন্দর পৃথিবী দেখা হবে না।
দেখা হবে না গাছ,নদী,সাগর,পাহাড়।
কিঞ্চিৎ আফসোস!
তবে আর মানুষ দেখতে হবে না,
শেষবেলায় এটাই আমার
দুঃখের মাঝে সান্ত্বনা।
লেখকঃ মোফাচ্ছির আজাদ