আষাঢ়ে আসমানে ম্যাঘ আন্দার হয়ে আসে চারদিক । নবীন কৃষক কার্তিক কোদাল নিয়ে জমিনের আল বাঁধতে ছুটে যায়, নতুন ধান বুনবার ডাক দিচ্ছে প্রকৃতি । কালো আসমানে আজ তার নব্য বিবাহিত শ্যামবর্ণ যুবতী বউ এর মুখ ভ্যাইসা উঠছে, ম্যাঘের ডাক মনে হয় জানি মাঝরাতের আদরের শীৎকার । লজ্জার মধ্যে গর্ব ফুটে উঠেছে মনের কোনো অজানা পোস্টঅপিসে।

ধানের চারা বাড়ে আর, বাড়ে কার্তিকের বৌয়ের আচার খাওয়ার শখ । মা আর বৌ নিয়ে সংসার কার্তিকের এবার ধান উঠলে মোটা পাড়ের একটা থান শাড়ি কিনে দেবে মাকে , বউ চাইছে রুপার মল আর একটা গন্ধ সাবান ।

ভাদ্দরে আসমানে আজ আবার ঐ আন্দার ম্যাঘ । ম্যাঘে ম্যাঘে ধাক্কা লাগে সে শব্দে বুকে মোচড় মারে কার্তিকের ।

আজ আর আসমান দেখে বউ এর মুখ মনে পড়ে না ,

বরং ইন্দ্রের মত তার শরীরে যেন সহস্রযোনীর স্বতীচ্ছেদ হচ্ছে মুহুর্মুহু ।

নমরুদের বিনাশে সৃষ্টি হয়েছিলো সামান্য মশা, কার্তিকের বিনাশের জন্য যেন ঈশ্বর আজ শীল বৃষ্টি দিলো । কার্তিক আর বাপ হওয়া হলো না, মায়ের শাড়ি ও কিনতে পারে নি ।

সেবছর দুর্ভিক্ষে ১০ হাজার মানুষ মরলো, তারমধ্যে কার্তিকেরা তিনজন ও ছিলো ।

২৯ জুন 20বিষ

নীল !

লেখকঃ নীল সরকার