ও!

আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে সকালে ঘুম থেকে উঠে এক মগ কফি খেয়ে দিন শুরু করতাম। শাটলে বা বাসে করে ক্যাম্পাসে যাওয়া হত। ক্যাম্পাসে যাওয়ার সাথে সাথে ক্লাস থাকলে, ক্লাসে যেতাম। ক্লাস না থাকলে ঝুপড়িতে যেতাম নাস্তা করতে। যে দিন প্রথমেই ক্লাস থাকত সেদিন, ক্লাস করে নাস্তা করতে যাওয়া হত। একদিন প্রথম ক্লাস শেষে ঝুপড়িতে যাব, সবাইকে বললাম, “কে কে নাস্তা করবি, চল।”

আমার এক বান্ধবী বলল, “চল।”

গেলাম ঝুপড়িতে।

আমার নাস্তার অর্ডার দিলাম।

বান্ধবী শুধু চা খাবে।

আমি নাস্তা খাচ্ছি।

সে চায়ের কাপ নিয়ে নাড়াচাড়া করছে।

তার মন খারাপ মনে হচ্ছে।

  • কিছু হয়েছে?
  • না, তেমন কিছু না।
  • ঝেড়ে কাশ
  • মনটা একদম ভাল নেই।
  • কেন?
  • ওর সাথে সম্পর্কটা রাখব না। কোন ভাবেই তার সাথে মিল হচ্ছেনা। এইভাবে সম্ভব না সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়া।
  • ‘ও’ টা কে?
  • তুই এটা কি বললি? সব সময় ফান না করলে হয়না? আমার এই অবস্থাতেও ফান করতে হবে? তুই আমার বন্ধু! তুই থাক! আমি যাচ্ছি!!

আমার বান্ধবী খুব রেগে চলে গেল। আমি অর্ধেক নাস্তা খেয়ে আর অর্ধেক ঝাড়ি খেয়ে বসে আছি!

আর ভাবছি ‘ও’ টা কে? যাকে না চেনার কারণে আমার ঝাড়ি খেতে হল!

যাক, বিরস বদনে ক্লাসে ফিরে গেলাম।

আমার বান্ধবী আমার সাথে সেদিন কোন কথাই বলল না!

দিনের ক্লাস শেষে, মেসে ফিরে গেলাম।

রাতে আমার ঘনিষ্ট বন্ধু এল।

নানা বিষয়ে কথা হল।

ক্লাস, সাহিত্য, দর্শন, রজনীতি, ইত্যাদি।

হঠাৎ বলে উঠল, “ওর সাথে আজ সম্পর্কটা শেষ হয়ে গেল, ভাল লাগছেনা। তাই সময় কাটাতে তোর কাছে এলাম। আমাদের দু’জনের একদম ভাল যাচ্ছেনা। এই সম্পর্ক টেনে নিয়ে যাবার কোন মানে নেই।”

ভাবছি জানতে চাইব  ‘ও’ টা কে!

সকালের ঝাড়ির কথা মনে হওয়াতে প্রশ্ন গিলে ফেললাম!