বাবার হাত ধরে,আদুল পায়ে শিশিরে পা ভেজাতাম,
সর্ষে ফুলের হলুদ রেণু লেগে যেতো জামায়,
অনেকটা পথ হেঁটে আগুনের তাপ নেওয়া,
মায়ের হাতের গরম গরম ভাপা পিঠা,
মক্তবে যাদের দেখেছি, দেখেছি পাঠশালে
পাঠ চুকিয়ে অনেক বড় হয়েছে তারা,
পুকুর জলে সাঁতার কেটেছে হাঁসের মতো সন্ধ্যা অবধি,
স্যাঁতসেঁতে শ্যাওলা নিয়ে গায়ে,মায়ের বকুনি খেয়ে
আবার নেমেছি জলে,সাফ-সুতোর হতে,
সে পথ,বাঁকা পথ,পথের ধারে হিজল,গাবের সারি,
সে অন্ধকার, জোছনা, জোনাক পোকার ডাকাডাকি,
শেয়ালা হাকডাক,পিউ পাখির কিচিরমিচির,
মায়ের ভাপা,বাবার হাত,শিক্ষকের কোমল শাসন,
ভাইয়ের, বোনের নিখাঁদ ভালোবাসা,
প্রতিবেশীর সাথে ভাগ করে খাওয়া পেয়ারা,ডাব,
জলের তলে লুকিয়ে থাকা শাপলা, শালুক,
কচি ধানের পাতার কচকচানি, ঝিলিক দেয়া পুঁটি,
শরৎের কাশ,বর্ষার জলের ধারাস্রোত,
মিহি,চিকন সুতোয় গেঁথে হিজলের ফুল
কার গলে পরিয়েছি মনে নেই,
মনে নেই কার হাতে কুড়িয়ে দিতেম দুটো গাব,
কার জামার আস্তিনে লুকিয়েছি ধনেপাতার গাছ,
কাকে আপন করে বলেছিলাম মনের কথা,
সঁপে দিয়েছিলাম জীবনের চাবিকাঠি,
এক বুক শূন্যতায় চাবি খুঁজেছি।
লেখকঃ ওমর ফারুক