মা তুমি কেমন আছ
জানতে ইচ্ছা করে
সত্যি করে বল তুমি
আমায় কি পড়ে মনে।
জন্মের পর দেখিনি তোমায়
কেমন তুমি ছিলে
তবুও প্রতিদিনই তোমায় খুজি
হাজারো তারার ভিড়ে।
তোমার পোষা টিয়া পাখিটা
দিয়েছি আজ ছেড়ে
যাতে প্রাণ খুলে উড়ে সে
মুক্ত ঐ আকাশে।
তবুও সে যায়না কোথাও
ছেড়ে ঐ আমাদের গাছ
সকাল বিকাল দেখতে আসে
এটাই তার কাজ।
সেও হয়তো তোমায় খুজে
দেখতে আসার ছলে।
কেউ আর করে না আদর
ডাকে না খুকা বলে
পিছন থেকে গুপটি করে
নেয় না কেউ কুলে।
তুমি নাকি তারা এখন
ঐ আকাশের মাঝে
বাবা এখন এটাই বলে
বাবা খুব বাজে।
প্রতিদিনই জোনাকি আসে
গভীর অন্ধকার হলে
বাবাকে আমি কাদতে দেখি
রোজই চোখের জলে।
সন্ধ্যা হলেই আকাশে দেখি
তারার আনাগোনা
কোনটা তুমি বল না মা
এত কি যায় গোনা।
ঐ আকাশে লুকিয়ে আছ
পাইনা তোমার দেখা
লুকুছুড়ি খেলছ বুজি
তুমি একা একা।
আমিও এখন খেলতে চাই
নেবে তুমি খেলায়?
আমি কি তোমায় জ্বালাতাম রোজ
তাই বুজি এখন স্বার্থপরের মতন
নেওনা কোন খোজ।
সবাই বলে মা’রা নাকি
অনেক ভাল হয়
আমি বলি সবার মা’য়েই কি
তোমার মত নিষ্ঠুর হয়।
মা তুমি কি জান
তোমার পোষা টিয়া পাখিটাকে
দিয়েছি আজ ছেড়ে
যাতে প্রাণ খুলে উড়ে সে
মুক্ত ঐ আকাশে।
তবুও সে যায়না কোথাও
ছেড়ে আমাদের গাছ
সকাল বিকাল দেখতে আসে
এটাই তার কাজ।
সেও হয়তো তোমায় খুজে
দেখতে আসার ছলে।
আমি এখন একা থাকি
দাড়িয়ে গাছের তলে
চড়ুই পাখি ঝগড়া করে
তাল গাছের ডালে।
দিন আসে দিন যায়
প্রজাপতি যায় উড়ে
পাখি সব নৃত্য করে
চড়ে গাছের ডালে।
এই সব আমার ভাল লাগেনা
কেন তুমি আমায় নাও না কুলে।
মা তুমি ফিরে এলে
খেলব নতুন খেলা
তোমার কথা মনে করে
অপেক্ষায় থাকি সারা বেলা।

লেখকঃ সুজন দাস