নারী তুমি দুর্গা,নারী তুমিই দুর্গ,
তুমি রাতের শীতল চন্দ্র আবার তুমিই দুপুরের গরম সূর্য।।
নারী, কষ্ট পেও না তুমি, যদি কেউ বলে তোমায় মূর্খ,
মনে রেখো তোমার শিল্পের গুরুত্ব যেইদিন লোকে বুঝবে
সেইদিন তুমি হবে শিল্পাচার্য,
তুমি মা,তুমি বান্ধবী আবার তুমি কারোর বোন।
কারোর জন্য তুমি হবে পর,আবার কারোর জন্য তুমি আপন।।
মূর্খ তুমি না,মূর্খ তো তারা-
যারা আজ হারিয়ে তোমায় ঘুরছে সড়কে হয়ে দিশেহারা।
বিশ্বসেরা সেই নারী যে জন্ম দেয় আমায়,
বিশ্বসেরা সেই নারী যে রেখেছে আমায় বোনের ছায়ায়,
বিশ্বসেরা সেই নারী যাকে ছাড়া এই কয়লা পরিণত হতো না হীরায়।।
যে সহ্য করেছে আমার জন্য ,তিনি একজন নারী,
যে রোজই পূরণ করে আমার সকল আবদার,তিনিও একজন নারী,
যে রোজ বিতর্কে জয়ী হয়ে আমায় “হিমুদা”,সেও একজন নারী,
আমার জ্ঞানদাতা শিক্ষিকা একজন নারী।
যার অবদানে আজ আমি গড়ে তুলচ্ছি ছন্দ,সেও যে একজন নারী।
জয়নুল হয়ে সাদা কাগজে এই “চিত্র লেখায়” আমার পথপ্রদর্শক একজন নারী।
নারীদের বুদ্ধি নেই আর হাঁটুর নিচে,তারা আগামী দিনের ক্রান্তি।
বুদ্ধিতে গোপাল ভাঁড়কে হারাতে পারবে না আমাদের মতো কৃষ্ণ নগরে মন্ত্রী।
নয় মাসের গর্ভযন্ত্রণা পারব না আমি সহ্য করতে,
বছরে দুই মাসের রক্তক্ষরণের যন্ত্রণা সয়ে পারব না আমি জীবনযুদ্ধে লড়তে,
তাই হয়তো পারব না তোমার উপর খিলখিল করে হাসতে,
তবে পারব তোমায় নিজের সবকিছু দিয়ে ভালোবাসোতে।।
রাজার মতো শোষণ করে তাদের যেন তারা দুর্বল,
কে বুঝাবে তাদের যে সেই নারী যে বুদ্ধিতে বীরবল।
নারী,যদি হয় তোমার মন উদাস,মাথা রাখতে পারো আমার এই কাঁধে,
কারন আমি বুঝেছি “যে রাঁধে,সে চুলও বাঁধে”
একদিন শোধ হবে তোমার সকল সকল ঋণ যা ছিল বকেয়া।
আশা করি আমার নত শির প্রণাম গ্রহণ করবে তোমার মাঝে থাকা প্রীতিলতা,তেরেসা ও রোকেয়া।।
নারী,তোমাকে সালাম ।করেছো তুমি অনেক আমাদের জন্য।
বলে যাও কেমনে করবে তোমার ঋণ শোধ এই নগণ্য।
আমার জীবনে তুমি পা দিয়ে করেছো আমায় ধন্য।
লিখেছেনঃ হিমু