আমি দেখিয়াছি শৈলেশ আর নির্বাত-নির্বর্ষ প্রান্তর,
কিন্তু দেখি নাই এমন বিদ্যোতিত জীবন্ত অন্তর।
অরণ্য-জনম লাভ করিয়া সে দুর্ধর্ষ হইলো,
এক সায়াহ্নের আগমনে চিন্তার সমীর বইলো।
আলোহীনতার ব্যথায় যখন হইলো জর্জরিত,
পরিবারের কথা ভুলিয়া গিয়া হইলো মর্মাহত।
ভাবিতে লাগিল তমসা-মুক্তি কেমনে অর্জিবে,
ইহার তরে দরকার হইলে অর্থ সে কর্জিবে।
একদিন হঠাৎ নিশি রাত্রে সে অরণ্য ত্যাজিল
তাহার পরেই ধীরে ধীরে সে সবকিছুই বুঝিল।
অধম হইতে উত্তম হইয়াই শিক্ষাইতে লাগিল
কবির দর্শন লাভ করিয়াই সব কিছুই কহিল।
কান্তার হইতে বাহির হইয়া কিসের প্রভা পাইলো?
পুছাইতেই সে আমারে জ্ঞানের দ্যু দেখাইলো।
তাহা হইলো বিদ্যালয় আর অসংখ্য পুস্তক,
যাহার দ্বারা উচ্চ হইবে সর্ব জাতির মস্তক।
লেখকঃ স্বপন হোসাইন