কাব্যের যুগ হয়েছে গত,
কঠিন গদ্যের কন্ঠে দুনিয়াকে করবো নত।
বিশ্বে বাকি নেই কোন ছন্দ,
মানুষগুলো হচ্ছে বিবেকহীন, অন্ধ।
কথায় কথায় বুলি আওড়ায় মানবতার,
যেন স্বর্গ হতে নেমে আসা স্রষ্টার অবতার।
চোখে জল, হৃদয়ে মরুভূমি।
কথাগুলো পুরোটাই মিথ্যা -ভণ্ডামি।
কথায় সত্যের কথা বলে,
বাস্তবে এরা ম্যাকিয়াভেলির নীতিতে চলে।
সত্যের কথা বলে, চোখে দেয় ধূলি,
এদের কারণে অসংখ্য মানুষ,
মুজুর, মুটে, কুলি।
সারাদিন খেটে যে কৃষক,
সারা অঙ্গে বহায় ঘাম
এদের কারণে পায়না সে কৃষক,
সোনালী ফসলের ন্যায্য দাম।
তোমারে সেবিতে যে কুলি,
পবিত্র অঙ্গে লাগায় ধূলো,
তাদের কে তোমরা অশিক্ষিত,
বর্বর ছোটলোক বলো!
তোমাকে সজ্জিত করতে যারা,
ছুটে যায় কারখানায়,
তাদের বুকে চড়ে তোমরা
বাজাও অত্যাচারের সানাই!
মজুর বলে কারে করো ঘৃণা?
এদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে বাজাও সুখের বীণা!
দোষ তো নয় ওদের,
দোষ মুজুর, মুটে, কুলি ও আমার!
কেন বারবার সহ্য করি এদের অত্যাচার?
নাহি কী শরীরে মোদের রক্ত, মাংস,প্রাণ
আঘাত হানিতে পারিনা কী দিয়ে মৃত্যুবাণ?
প্রতিটি শিশু জন্মায় সমান অধিকার নিয়ে,
কেন তাদের ঘিরে রাখো বিভেদের রেখা দিয়ে?
হে বন্ধু, আঁখি খোলো।
তীব্র কন্ঠে প্রতিবাদের আওয়াজ তোল।
ভেঙ্গে ফেল সেসব ঠুনকো ভিত,
জগৎ জুড়িয়া বাজিয়া উঠুক সাম্যের গীত।
লেখকঃ সাদিকুর রহমান সাদেক