নিশ্বাসে আসে ধোঁয়া,
বিশ্বাস বানানেই বিষাক্ততার ছোঁয়া।
তোমার হাসির উপমা
সাকচুন্নিও হাসে রাঙা ঠোঁটে। তা কি তুমি দেখো না?
তোমার স্যুটবুটের ভদ্রতা?
খবরের ঐ বিজ্ঞাপনে দেখি তোমার নগ্নতা।
নিশ্বাসে আসে ধোঁয়া,
কোথায় জানি জলছে আগুন। জ্বালানি হাড়ের কোয়া।
সিগারেট লাগে না, হুক্কা টানিনা
কালো ধোঁয়া ছাড়া গাড়িও চলে না।
দুষিত হৃদপিন্ড, দুষিত যকৃত
দুষিত এখন আমি
তাই নিশ্বাসে ধোঁয়া ছাড়ি!
পিসির হাতে সিটি গোল্ডের চুরি
কাকাবাবু আজও পত্রিকা পড়ে,
ইজি চেয়ারে দুলিয়ে ভুড়ি।
মেট্রোরেলের পিলারের নিচে অনাহারে ঘুমায় ফেরেশতা
তোমার পোষা পাপ্পি কুত্তাটাও খায়,
পোলাওয়ের সাথে বেরেস্তা!
বোর্ডের পাশে দাঁড়িয়ে আমি
“দে দে আরেকটা বোর্ড মারি।”
ছেলের বউকে মারে যে শ্বাশুড়ি
অঙ্গে সেও নারী!
নিশ্বাসে আসে ধোঁয়া
ধমনীতে পাম অয়েল সত্তর পোয়া।
নাক থেকে ধোঁয়া উড়ে; চোখে দেখি ঝাপসা
ধোঁয়ার ঝাঝে কাশে; কানে শোনাও যায় আবছা।
কার্বন ডাই অক্সাইডের লালসায়,
কার্বন ডাই অক্সাইডের নেশায়,
রক্ত গিলি পিপাসায়।
অক্সিজেন এখানে নিষিদ্ধ!
নিশ্বাসে আসে ধোঁয়া
নিশ্বাসে আসে ধোঁয়া
নিশ্বাসে আসে ধোঁয়া
নিশ্বাসে আসে ধোঁয়া।
লেখকঃ মাহিন – আল বিরুণী