বড়ো অবেলায় আমার দুয়ারে বসন্ত
কড়া নাড়লো,যখন শূন্যতা আমায় ঘিরে রেখেছে,একাকীত্ব নামক অতল সমুদ্রে ডুবে জীবন সূর্য যখন ডুবুডুবু।

অবহেলা আর অভাব নামক মহাখেলায় জীবন যখন হয়ে পড়েছে দুর্বিষহ,হতাশা নামক গহীন অরণ্যে জীবন হারিয়ে ফেলেছে যখন সকল সুখের আশা।

জীবন প্রদীপ যেন আজ গিলে খেয়েছে আমার দিবসগুলো,আপন মানুষগুলোর দেওয়া আঘাতে জীবন বড্ড দিশেহারা।

তবুও-কূলহীন সমুদ্রে একাই ভিড়িয়েছি জীবন তরী,জানি না আমি এই মহা দুর্বিষহ সংকটময় বসন্তের আগমন,জীবনে আনবে কী না আলোর দেখা।
তবুও-একবুক আশা নিয়ে জীবন ভেলা সাজিয়েছি মরুভুমির তটে,অঙকুরিত করতে চেয়েছি জীবনবৃক্ষ নামক মহা রঙ্গশালা।

জীবন নদীর এই খেলাঘরে সারাটি কাল কী
আমি কাটিয়ে যাবো?একাকীত্বের মহা- সমুদ্রে আমি কী একাই ভাসিয়ে যাবো কূলহীন সীমানা জুড়ে।

নাকি,প্রতিটি বসন্তই আমার জীবনে বয়ে আনবে একরাশ অবহেলা,হতাশা আর অভাব নামক মহান প্রাচীর।
নাকি,একাই পাহারা দিয়ে যেতে হবে মহা দুর্বিষহ জীবন তরী।
নাকি,আরো কয়েকটি কাল অতদ্রপহরীর মত পাহাড়া দিতে হবে বসন্তের আগমনী বার্তা।
জীবন ভেলায় কখনোই কী পাবো না আমি আলোর দিশারির সন্ধান,যে এসে অংশীদারিত্ব নিয়ে আমার দুঃসহ জীবনের মহা নাট্যশালার।
নাকি-বারে বারই আমি বসন্তের রঙিন দিনগুলো কাটিয়ে যাবো আলোর দিশারির অপেক্ষায়।
কখনোই কী জীবনবৃক্ষে সুখ নামক সেনার হরিণের পাবো না দেখা,আলোর দিশারি কখনোই কী আমার বসন্তে নিয়ে আসবে না ঢালিউড,হলিউড কিংবা বলিউডের মত
রঙিন রঙ্গমঞ্চ,যা কাটিয়ে দিবে আমার জীবনবৃক্ষের হতাশা নামক চোরাবালি।

নাকি,রোজকার মতই জীবনতটে বসন্তরা কড়া নাড়বে অবহেলা,অভাব কিংবা হতাশা নামক জীবনতরী।
সুখ কী অধরাই থাকবে প্রতিটি বসন্ত জুড়ে,সুখ কী কখনোই দেবে না ধরা আমার বসন্তের কালবেলায়।

লেখকঃ মো সেলিম হোসেন