আমার সৃষ্টির পর থেকে
প্রতিটি মুহূর্ত মানুষের কোলাহলে
বেঁচে ছিলাম।
গানের মূর্ছনা, কবিতার ঝংকার
পাওয়ার উল্লাস, না পাওয়ার বেদনা
চোখে চোখে কথার অবিরল স্রোত
হাতে হাত রেখে বিশ্বাসের সেতুবন্ধন
চোখে চোখে ধ্বংসের প্রলয়নাচন
হতাশার দীর্ঘশ্বাস
অশ্রুসজল দৃষ্টি
চোখভরা অশ্রু
বেদনার্ত চাহনী
প্রিয়জনের সুখবরে দু’ঠোঁটে খেলে
যাওয়া স্মীত হাসি
কষ্ট চেপে দেওয়া বিষণ্ণ হাসি
আনন্দে গড়াগড়ি দেওয়া অট্টহাসি
আমি শুনেছি, দেখেছি, আর অনুভব করছি।
অগণিত মানুষের আমার বুকের উপর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার পদভার, আর
কত উপলক্ষ্যে আমার আঙিনাতে তারুন্যের প্রলয় নাচন আমি দেখেছি।
দু’দন্ড বিশ্রাম চেয়েছি।
এই কোলাহল, এই শোরগোল
থেকে মুক্তি চেয়েছি অগণিত সময়ে।
শুনশান নীরবতা চেয়েছি।
চাইনি আর আনন্দে উন্মত্ত, কিংবা
হতাশায় রিক্ত পদভার।
কিন্তু, এই সবকিছু থেমে যাওয়া
সময়ে
যখন সব কোলাহল থেমে গেছে প্রায়
আমি কান পেতে রই
শোনার জন্য
যুগলের কলহাস্য
গানের সুর
কবিতার অন্তমিল।
পাখিরা এসে গান শুনিয়ে যায়
বৃষ্টিরা এসে জলকেলিতে মাতে
দূর্বাঘাসেরা বাঁধাহীন
চুমু খায়, আমার বুকের পাঁজরে।
তবুও, আমার তৃষ্ণা মেটেনা
প্রাণ জুড়োয় না।
অপেক্ষায় থাকি,
কোলাহল আর শব্দশ্রোতের।
আমার ফাঁকা আঙ্গিনা আর শুন্য হৃদয় ভরে যাক
শব্দদূষণ আর
পাওয়া,না পাওয়ার কবিতায়।