হেমন্তের কাঁধে ভর করে শীতের আবেশ তথা,
কুয়াশাস্নাত ঘাস ফুলেতে চাষেই নিজের প্রথা।
নিসর্গতে প্রলেপ সাঁটায় আপন গতির তালে,
হিমশীতলে রূপসী বাংলা কাঁপন ধরায় পালে।
শীতের ভাষা বুঝতে হলে আসবে সবুজ গাঁয়ে,
খুব সকালে হাঁটবে ঘাসে শিশির ঢালবে পায়ে।
শীত চরিত্রের বৈশিষ্ট্যতে তারুণ্য পায় ধরণী,
হলুদ ফুলে ভাসতে থাকে সলাজ বঙ্গ তরুণী।
শাক-সবজিতে কাঁচাঝালে রাঙায় জমিন-মাঠ,
পুষ্টি যোগায় কৃষক বন্ধু সাজায় বাজার-ঘাট।
শীতের রাতে কম্বল হাতে গুঁজে ভাইয়ের মুখ,
আরাম করে ঘুমের দেশে তাতেই বোনের সুখ।
মায়ের কোলে ওমের ছলে মনের সুখে হাসায়,
দুধ নারিকেল পিঠাপুলি মুখরোচকে ভাসায়।
কুয়াশা দানা মুক্তা ছিটায় দূর্বা ঘাসের চূড়ায়,
বৃক্ষলতায় আয়েশ করে সূর্য রশ্মির পাড়ায়।
শিমের বিচি মটরশুটি খেজুরগুড়ের মোয়া,
চিতই ভাপা পাটিসাপটা মধুর প্রাণের ছোঁয়া।
হাড়কাঁপানো শীতের মাঝে পথেই ঘুমায় যারা,
খোলা আকাশে কেমনে থাকে গরম কাপড় ছাড়া।
মাঘের শীতে প্রবাদ আছে বাঘে খাওয়ার কথা,
পৌষের শীতে বৃষ্টির তোড়ে বাড়ায় মনের ব্যথা।
শীতের পারদ নেমে গেলে কষ্ট হাঁকে ছিন্নমূলে,
তাদের প্রতি দরদ দিয়ে যত্নে রেখো অনুকূলে।
পরিশেষে কুয়াশা চাদর খুলে শীতের ছাউনি,
মিষ্টি রোদের আদর পেয়ে হাসলো সকল প্রাণি।
শীতের গায়ে উষ্ণ হাওয়া কোকিলকন্ঠের গীত,
ঋতুরাজে হামলা চালায় এবার পালাও শীত।
লেখকঃশুক্কুর আলী খোরাসানী