হাজার বছর ধরে আমি এভাবেই রয়েছি,
শত শত স্মৃতি খুব যত্ন করে, গোপন রেখেছি।
ওরা আসবে, আমি ওদের সবটুকু দিয়ে দিব,
ওদের বিস্ময় ভরা মুখ দেখে, আমি আনন্দিত হব।
বাংলা মায়ের এ নিবেদন যারা বুঝেছিল,
তাদের মধ্যে একজন ছিল বঙ্গবন্ধু।
আজ যাকে পুরো বিশ্ব জানে,
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি রূপে।
শত ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে, ৭ই মার্চের জ্বালাময়ী ভাষণে,
হাজার হাজার মানুষকে এক স্বাধীন দেশের,
স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন তিনি।
তার এক কথায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সবাই,
সেই বহু আকাঙ্খিত স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে।
বঙ্গবন্ধু সেবার একা জেতেননি, জিতেছিল সারা বাংলা।
পুরো বিশ্বকে মাথা তুলে, বুক চিতিয়ে জানান দিয়েছিল,
বাঙালি যতদিন আছে, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশও ততদিন আছে।
স্বাধীনতার এ সুখ বেশিদিন দেখে যেতে পারেননি তিনি,
লাখো বীর বাঙালির মাঝে যে গুটিকয়েক বিশ্বাসঘাতকও ছিল
সে কথা বোধহয় জানা ছিল না মুজিবের।
সপরিবারে নিজ বাড়িতে খুন হতে হলো তাকে!
বাঙালি কি কখনো ঘোচাতে পারবে,
এ কলঙ্ক দেশের মাটি থেকে!